প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর লাখ লাখ হাজির উপস্থিতি আরো ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে, এমন বিবেচনায় ১৯৩২ সালে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম হজ বাতিলের চিন্তা করছে দেশটি। -গালফ নিউজ, এ্যারাবিয়ান বিজনেস, মিন্ট, ফিনান্সিয়াল টাইমস ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এসেছে, সৌদি আরবে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সৌদি আরবের সরকার।
আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে হজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সৌদি আরবে ওপর স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি চিন্তা করেই হজ বাতিলের জন্যে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর আগে টোকিও অলিম্পিক কোভিডের কারণে প্রথমে বিলম্বে এবং শেষ পর্যন্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
তবে স্থানীয় পর্যায়ের সীমিত সংখ্যক হজ যাত্রী নিয়ে প্রতীকী হজ পালনের বিষয়টিও বিবেচনা করছে সৌদি সরকার। সৌদি হজ মন্ত্রণালয় বলছে , সবধরনের প্রস্তাব বিবেচনার পাশাপাশি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে বাতিলের আশঙ্কাই বেশি । এর আগে মার্স ও এবোলা ভাইরাসের সময় বিশেষ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে হজের আয়োজন হয়েছে । তবে বিশ্বব্যাপী কোভিডের মারাত্মক পরিস্থিতিতে এবার হজের আয়োজনকে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ মনে করছে সৌদি আরব সরকার ।
দেশটিতে গত ২ মার্চ প্রথম কোভিড সংক্রমণ ঘটে। এরপর সৌদি আরব ভ্রমণে বিধিনিষেধ ও দুই মাস কার্ফিউ আরোপ করা হয়। লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে গত ৬ দিনে সৌদি আরবে ৩ সহস্রাধিক কোভিড শনাক্ত করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৫৭ জন । উল্লেখ্য, বছরে হজ থেকে সৌদি আরব আয় করে ১২’ শ কোটি ডলার ।
Discussion about this post