করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বাঙালি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত তিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা নিউইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অধিকাংশের বয়স ষাটোর্ধ্ব।
এদিকে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও সিটি গভর্নর এন্ড্রু কুমো লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।
মৃতের স্বামী নাজমুস সাকিব জানান, তমার সাথে তিনি ৭ বছর প্রেম করেন এবং ২০১২ সালে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিউইয়র্ক নিয়ে আসেন এবং নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। চার বছর আগে কোলজুড়ে আয়দান নামে এক সন্তান আসে। ছোট্ট সুখের সংসার, ভালোভাবেই চলছিল, কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস; তাদের সেই সুখে আঘাত হানে করোনাভাইরাস।
প্রবাসের আঞ্চলিক সংগঠন ‘বিয়ানীবাজার সমিতি’র সাবেক উপদেষ্টা শামসুদ্দিনের বড় ভাই, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদের মামা আলতাফ হোসেন ননী মিয়া মারা গেছেন। তিনি গত ৯ মে সন্ধ্যা ৬টায় মাউন সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নূর উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বসবাসকারী সাব্বির খান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মে ব্রুকডেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা, ১ ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের তিলক গ্রামে।
নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাসকারী রাশেদা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুইন্সের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি.. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাসকারী মোহাম্মদ এ সামাদ ৭৪ বছর বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মে ইন্তেকাল করেছেন। নিউইয়র্কে বসবাসকারী কাজী মোস্তফা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ছিল ৭৭ বছর।
নিউইয়র্কের কুইন্স প্রবাসী মোহাম্মদ হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি পরিবার পরিজন রেখে গেছেন।
নিউইয়র্ক প্রবাসী মাওলানা মুজাহিদ আলী ৭৮ বছর বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
Discussion about this post