খেলা বা সিনেমায় অংশগ্রহণ করে সেলিব্রিটিরা পান বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বড়সড় প্রভাব পেলেন ফ্যাশন ও বিজ্ঞাপন শিল্পে। যাকে টাকার অঙ্কেও হিসেব করা যায়। সেই নিরিখে ভারতীয় তারকাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুর খবর জানা যাক—
ডাফ অ্যান্ড ফেল্পসের এক সমীক্ষায় ‘দ্য বোল্ড, দ্য বিউটিফুল অ্যান্ড দ্য ব্রিলিয়ান্ট’-এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বলিউড তারকাদের পেছনে ফেলে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এই মুহূর্তে তার ব্র্যান্ড ভ্যালু এক হাজার ২০৫ কোটি রুপি।
একই সমীক্ষা বলছে, ই-কমার্স, রিটেল, এফএমসিজি ও স্মার্টফোনের বাজারে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা দিয়েছেন সেলিব্রিটি। দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছেন বলিউড নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ৭২৩ কোটি রুপি।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘প্যাডম্যান’-খ্যাত অক্ষয় কুমার। এ নায়কের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪৪৭ কোটি রুপি। চার নম্বরে রণবীর সিং, ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪৪৫ কোটি রুপি। অর্থাৎ নবদম্পতি দীপিকা ও রণবীরের ব্র্যান্ড ভ্যালু মেলালেও তা বিরাট কোহলিকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।
২০১৭ সালে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শাহরুখ খান, এবার তিনি পাঁচ নম্বরে। তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪২৮ কোটি রুপি। পরের স্থানে থাকা সালমান খানের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৩৯৪ কোটি রুপি।
সপ্তম স্থানে থাকা অমিতাভ বচ্চনের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৯০ কোটি রুপি। অষ্টম স্থানের আলিয়া ভাটের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৫৮ কোটি রুপি। পরে আছেন বরুণ ধাওয়ান, ২২৩ কোটি রুপি নিয়ে। দশম স্থানে হৃতিক রোশনের ঝুলিতে আছে ২১৯ কোটি রুপি।
কাজের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে আমির খান আছেন ১১ নম্বরে। তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০১ কোটি রুপি। ১২ ও ১৩ নম্বরে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও আনুশকা শর্মার ব্র্যান্ড ভ্যালু যথাক্রমে ১৯০ কোটি ও ১৬৬ কোটি রুপি। ১৪ নম্বরে রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। তার পরই আছেন পিভি সিন্ধু। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু যথাক্রমে ১৫৪ কোটি ও ১৪৯ কোটি রুপি।
ডাফ অ্যান্ড ফেল্পসের এ সমীক্ষা বলছে, ২০০৭ থেকে দশ বছরে ১ লাখ ৯ হাজার ১৯০ কোটি রুপি থেকে ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৪৩৩ কোটিতে এসে পৌঁছেছে ভারতীয় টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের মোট খরচ। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তারকাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু।
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post