পবিত্র মক্কা নগরীর মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতে প্রবেশ করতে বসানো হয়েছে জীবাণুনাশক ও জীবাণু আক্রান্তদের চিহ্নিত করণ অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
মহামারি করোনার কারণে এ দুই পবিত্র মসজিদে সীমিত আকারে দায়িত্বশীলরাই নামাজ পড়ছেন। বিধি-নিষেধের কারণেই স্থানীয় ও সাধারণ মুসল্লিরাও উপস্থিত হতে পারছে না। সব জনসাধারণের জন্য স্থগিত রয়েছে কাবা শরিফের তাওয়াফ, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে নামাজ ও জিয়ারত।
খুব শিগগির সব মুসল্লিদের জন্য পবিত্র দুই মসজিদ খুলে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হারামাইন কর্তৃপক্ষ। আর তারই অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহেই কাবা শরিফের প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত বাদশাহ আবদুল আজিজ গেটেই বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক জীবাণুমুক্ত ও চিহ্নিতকরণ বিশেষ মেশিন।
অত্যাধুনিক এ গেট অতিক্রমকালেই স্ক্রীনে প্রবেশকারীর শারীরিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ভেসে উঠবে। সংক্রমণ সম্পর্কে যেমন জানা যাবে। আবার প্রবেশকারীদের শরীরও হবে জীবাণুমুক্ত।
দেশটিতে সাময়িকভাবে লকডাউন খুলে দেয়া হলেও পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা সবার জন্য এখনও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়নি। তবে এ দুই পবিত্র মসজিদ সব মানুষের ইবাদতের সুবিধার্থে খুলে দেয়ার চিন্তা থেকেই এ মেশিন গেট বসানো হয়েছে।
অত্যাধুনিক এ মেশিনে প্রবেশকারীদের জীবাণুমুক্ত করতে উন্নত মানের জীবাণুনাশক মেশিনের মাধ্যমে ফটকে স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার স্প্রেসহ জীবাণু নির্বীজকরণ করা ও থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যামেরাগুলোর ৬ মিটারের মধ্যে একসঙ্গে বেশ কয়েকজনের তাপমাত্রা মাপা, সংক্রমণ নিয়ে আগত মুসল্লিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সন্দেহভাজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করার জন্য স্মার্ট স্ক্রিন ব্যবহার হয়েছে।
মহামারি করোনা প্রতিরোধে এর আগে মসজিদুল হারামের স্কেলেটরে (চলন্ত সিঁড়ি) জীবাণুনাশক অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইস স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক চলন্ত সিঁড়ি স্থাপন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও পবিত্র দুই মসজিদ জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন সাতবার স্প্রে দিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয়।
Discussion about this post