ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের অভ্যন্তরে চিরুনি অভিযানে নেমেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সন্দেহ করা হচ্ছে, পাকিস্তানের হয়ে দেশীয় নাগরিকরাই ভারতের সামরিক তথ্য পাচার করছে। একের পর এক দেশের নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষপাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ইউটিউবার, ব্যবসায়ী ও নিরাপত্তা কর্মী। সর্বশেষ গুজরাটের কচ্ছ জেলার এক বাসিন্দা শাহদেব সিং গোহিলকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস)। গোহিল পেশায় একজন স্বাস্থ্যকর্মী।প্রতিবেদনে বলা হয়, গোহিল ২০২৩ সালে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ‘অদিতি ভরদ্বাজ’ নামে পরিচয় দেওয়া এক পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগে আসে। ওই এজেন্টের অনুরোধে গোহিল ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী -এর বিভিন্ন স্থাপনার ছবি ও ভিডিও পাঠায়।
ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড কর্মকর্তা কে সিদ্ধার্থ জানান, অভিযুক্ত গোহিল একটি ভুয়া পরিচয়ের মাধ্যমে সিমকার্ড কিনে হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় হয়ে পড়ে এবং সেই নম্বর থেকেই পাকিস্তানভিত্তিক যোগাযোগ চালিয়ে যায়।
ফরেনসিক বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ওই নম্বর ব্যবহার করে যে তথ্য পাঠানো হয়েছে, তা পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। গোহিলকে তার কাজের জন্য ৪০ হাজার রুপি প্রদান করা হয়েছিল।
Discussion about this post