অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা শুরু করা একটি ছোট নৌযানকে আটকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
রোববার (৮ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সেনাবাহিনীকে এ নির্দেশ দেন। ‘ম্যাডলিন’ নামে এই ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌযানটিতে রয়েছেন সুপরিচিত পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ জন মানবাধিকারকর্মী।
এই শান্তিপূর্ণ মিশনের উদ্দেশ্য গাজায় জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। ত্রাণবাহী নৌযানটি পরিচালনা করছে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ (এফএফসি) নামে একটি প্রো-প্যালেস্টাইন জোট। ৬ জুন সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করে এটি বর্তমানে মিসরের উপকূলের কাছে অবস্থান করছে।
নৌযানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসানসহ আরও ১১ জন অধিকারকর্মী। গ্রেটা থুনবার্গ জানিয়েছেন, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদে এবং অবরোধ ভাঙতে প্রতীকীভাবে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
ইসরায়েলি মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই ফ্লোটিলাকে ‘হামাসপন্থী প্রচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ম্যাডলিন গাজায় পৌঁছাতে পারবে না- এ নিয়ে আইডিএফকে আমি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, গাজার ওপর নৌ অবরোধ ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে অপরিহার্য। এই অবরোধ কেউ ভাঙতে পারবে না।
ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৌযানটিতে প্রতীকী ত্রাণসামগ্রী রয়েছে- যার মধ্যে চাল ও শিশুখাদ্য প্রধান। তারা জানায়, গাজা উপকূল থেকে এখনও প্রায় ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ‘ম্যাডলিন’। সংগঠনটির মুখপাত্র হাই শা উইয়া বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ইসরায়েল যে কোনো সময় বাধা দিতে পারে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ‘ম্যাডলিন’ নৌযানকে আটকানোর পরিকল্পনা করেছে। সেটিকে পথেই থামিয়ে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরপর যাত্রীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে তুরস্কের নেতৃত্বাধীন গাজাগামী ‘মাভি মারমারা’ বহরে ইসরায়েলি হামলায় ১০ জন নিহত হন। এবারও আন্তর্জাতিক মানবিক মিশনের বিরুদ্ধে একই ধরনের কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Discussion about this post