সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্য এবং দীর্ঘ ২০ বছর কোমায় থাকা ‘স্লিপিং প্রিন্স’ হিসেবে পরিচিত প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন মুসাইদ আল সৌদ অবশেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।শনিবার (১৯ জুলাই) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল।
২০০৫ সালে একটি মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কোমায় চলে যান যুবরাজ আল ওয়ালিদ। এরপর দীর্ঘ দুই দশক তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন রিয়াদের কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে। দুর্ঘটনার পর থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং তার শারীরিক অবস্থা নিয়মিতভাবে সৌদির সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ছিল।
সৌদি রাজপরিবার সূত্রে জানা যায়, তার মৃত্যুর পর রিয়াদের আল উদ কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রাজপরিবারের সদস্যরা ছাড়াও দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রিন্স আল ওয়ালিদ সৌদি আরবের প্রয়াত রাজা কিং খালেদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ-এর নাতি। তার বাবা প্রিন্স খালেদ বিন মুসাইদ ১৯৮৫ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
দীর্ঘ সময় কোমায় থেকেও পরিবারের অবিচল ভালোবাসা ও যত্নে প্রিন্স আল ওয়ালিদ সৌদি আরবসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক আবেগঘন চরিত্রে পরিণত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজারো মানুষ ভালোবাসা ও শোক জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন।
এই ঘটনার পর সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি আবারও জোরালোভাবে উঠেছে। তার এই দীর্ঘ কোমায় থাকা এবং মৃত্যু সৌদি নাগরিকদের মধ্যে পরিবার, ধৈর্য, সেবা ও ভালোবাসার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Discussion about this post