বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৫ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাকিস্তানের ‘গঠনমূলক ভূমিকার’ কথা তুলে ধরেন রুবিও।
এটি ছিল ইসহাক দার ও মার্কো রুবিওর মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক। এর আগে তারা টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ, তবে আমরা শান্তি চাই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাত পাকিস্তান চায় না। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে এবং পাকিস্তানকে বদনাম করতে ভারত সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দার জানান, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতামূলক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ও তাদের টিমের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন জানিয়েছে, বৈঠকে মার্কো রুবিও পাকিস্তানের ভূমিকাকে ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তিতে ইতিবাচক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তিরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে উভয় নেতা একমত হন। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রম।
ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান এখন আমেরিকান ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য। আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় অভিন্ন।
বৈঠকে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতির সাম্প্রতিক বাস্তবায়ন নিয়েও কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গঠনমূলক ভূমিকাকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্বীকার করেন।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরানকে ঘিরে চলমান আঞ্চলিক টানাপোড়েনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে দেশটির আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞ।
Discussion about this post