আজ ১৮ই ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস। প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৯০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দিনে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ ১৯৭৩ সালের এই দিনে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক ভাষা এবং জাতিসংঘের দাপ্তরিক কার্যক্রম সমূহের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে গৃহিত হয়।
প্রথমবারের মত বাংলাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মধ্যপ্রাচ্যের সব কটি দেশের অফিসিয়াল ভাষা আরবি, ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগে আরব উপদ্বীপে আরবি ভাষার উৎপত্তি ঘটে। জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষার একটি আরবি। মধ্যপ্রাচ্যে ছাড়া ও বর্তমান বিশ্বের ২৮ রাষ্ট্রের অফিসিয়াল ভাষা হচ্ছে আরবি। আধুনিক আরবিকে “ম্যাক্রোভাষা” আখ্যা দেয়া হয়, ISO স্বীকৃত আরবি ভাষার ২৭ রকমের উপভাষা রয়েছে । সমগ্র আরব বিশ্ব জুড়ে এই উপভাষাগুলি প্রচলিত এবং আধুনিক আদর্শ আরবি ইসলামী বিশ্বের সর্বত্র পড়া ও লেখা হয়। আধুনিক আদর্শ আরবি চিরায়ত আরবি থেকে উদ্ভূত। মধ্যযুগে আরবি গণিত, বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রধান বাহক ভাষা ছিল। বিশ্বের বহু ভাষা আরবি থেকে শব্দ ধার করেছে।
পৃথিবীর সকল ভাষার মাঝে আরবী ভাষার মান সবচেয়ে উচ্চ ও উন্নত। আরবী ভাষা কালজয়ী ভাষা। পৃথিবীর অনেক ভাষাতে কোনো না কোনো সময় ব্যাপক পরিবর্তন আসলে ও আরবী ভাষা আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রয়েছে অপরিবর্তনীয় ও অবিকৃত। কালের প্রবাহ কখনো এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি।
অর্থনৈতিক বিবেচনায় অনেক কারনে আরবি ভাষা শিক্ষা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম উৎস রেমিটেন্স সৈনিকদের সিংহভাগ থাকেন মধ্যপ্রাচে। তাই দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর স্বার্থে, কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ়করণ, ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন ও দেশীয় অর্থনীতিকে উন্নতির স্বার্থে আরবি ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া দরকার।
Discussion about this post