ভোলার বোরহানউদ্দিন স্বামীর বাড়ীর দাবিকৃত যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পৌর ৯নং ওয়ার্ডের পঙ্গু মো: মফিজের মেয়ে আছমা বেগম (২২) কে শিকল দিয়ে বেঁধে স্বামীর বাড়ীর লোকজন অমানবিক নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হলে রাত ৩টায় স্বামী সাহাবুদ্দিন (২৭) ও আনোয়ার (৫৫) কে আটক করেন থানা পুলিশ।
এদিকে এ মেয়েটির শিকল বাধাঁ অবস্থায় ভিডি স্যোশাল মিডিয়া ভাইরাল হয়। এতে সবাই স্বামীর পরিবারের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন। আছমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বিয়ে হয় প্রায় ৩ বছর। বিয়ের পর যৌতুক বাবদ ৭০ হাজার টাকা নেয় আমার স্বামীর পরিবার। এরপরও আমার স্বামী মো: সাহাবুদ্দিন ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন প্রায়ই আরোও যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় ট্রাক চালায় আর নেশা করে। গভীর রাতে নেশা করে প্রায়ই যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করতেন। কিন্তু আমার ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তানের জন্য সকল কষ্ট সহ্য করে এসেছি। আমার স্বামী শনিবার আমাকে বাড়ীতে পাঠায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে। আমার বাবা একজন পঙ্গু মানুষ।
বাড়ীতে এসে কান্নাকাটি করলে বাবা মা বুঝিয়ে রবিবার আমার শ্বশুর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। টাকা নিতে না পারায় রবিবার বিকাল থেকে আমাকে নির্যাতন শুরু করে আমার স্বামীসহ তার পরিবার। সন্ধ্যায় হাতে পায়ে শিকল বেধেঁ সারা শরীরে কাটা দিয়ে ক্ষত করে মরিচের গুড়া ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দেয়। এভাবে সারা রাত অমানবিক নির্যাতন করেন। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। আমার ডাক চিৎকারে সকালে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আমার বাবা মাকে খবর দেন। তাদের সহযোগিতায় থানায় আসলে পুলিশ আমার হাতে পায়ের শিকল খুলে রাত ১২টায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। আমি আমার নির্যাতনের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এদিকে এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় এস.এ আই হেমায়েত, এস.আই বিল্লাল সহ সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে স্বামী সাহাবুদ্দিন ও শ্বশুর আনোয়ার কে আটক করেন। তাদেরকে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় তার ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করেন পুলিশ।
Discussion about this post