কক্সবাজারের কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের তরুনী রহিমা আকতার। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইলিয়াস আর মায়ের নাম মিনুআরা। রহিমার জন্মথেকে শুরু করে বেড়ে উঠা সবকিছুই রোহিঙ্গা ক্যাম্পা। কিন্তু গত দুই বছরে বদলে গেছে সবকিছু। রহিমা আক্তার থেকে হয়ে গেছেন রাহি আক্তার খুশি। নেতৃত্ব দিচ্ছেন কক্সবজার প্রথমআলো বন্ধুসভার। বন্ধুসভার কয়েকটি ইউনিটের সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে এখন জেলা কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রোহিঙ্গা রশিদা। জেলা’র কজন সুশীল ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এখন কক্সবাজারের হাইসোসাইটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার অবাধ বিচরণ।১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির পরিবার একইভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো স্কুলে পড়তে পারে না। তাই রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে কক্সবাজারের একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন খুশি। রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে ভর্তি হওয়া সেই স্কুলটি হলো,কক্সবাজার শহরের বৈল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি। খুশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। কক্সবাজারের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি অনার্স পড়ছেন।
এই রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশি, বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথমআলো বন্ধুসভার জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক। এছাড়াও ওমেনলার্নিংথসেন্টার, মার্কিফাউন্ডেশন কক্সবাজার সরকারি কলেজের স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। সম্প্রতি বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে খুশির দেড় মিনিটের যে ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করে এতে তার রোহিঙ্গা পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়। যার ফলে তার সহপাঠিরাও রীতিমতো বিস্মিত! খুশী একজন রোহিঙ্গা এবং সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
Discussion about this post