বিদেশের মাটিতে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের সুনাম। সে সাফল্যে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নাম। তিনি সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী। তুরস্কের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ (৪) পেয়ে রাশেদ শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী মনোনীত হন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তিনি স্নাতকোত্তর সনদ ও বিশেষ উপহার গ্রহণ করেন।।
সম্প্রতি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তুর্কি স্কলারশীপপ্রাপ্তদের ৮ম কনভোকেশনের আয়োজন করা হয়। এতে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইয়েতেবে প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের কৃতি সন্তান সাইয়েদ রাশেদ হাছান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে ডিন’স মেরিট লিস্ট অব অনার ও ডিন’স মেরিট লিস্ট অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে ২০১৬ সালে তুরস্কের সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। তিনি আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার প্রথম পর্বে ফ্যাকাল্টিতে প্রথম স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়ে দেন।
রাশেদ ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের খিরশেহিরে ‘ওসমানি সালতানাতের ধর্মীয় ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকও অর্জন করেছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত আছেন। রাশেদের গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে তুরস্ক, ব্রিটেন, জার্মানি, সাইপ্রাস, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির বিভিন্ন জার্নালে। ইউরোপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও নিজের গবেষণা প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করেছেন তিনি।
রাশেদের গ্রামের বাড়ি উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। তিনি মাতাব্বরনগর দারুসুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আলী হোছাইনের ছেলে।
Discussion about this post