জার্মানের বার্লিনে আন্তর্জাতিক একাডেমিক গবেষণা এবং শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ৪ দিনের সামাজিক বিজ্ঞান ও হিউমেনিটিস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি মেধাবী শিক্ষার্থী মু. তারিকুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ মোহম্মদ জাবেদ কনফারেন্সে অংশ গ্রহন করে নিজ নিজ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কনফারেন্সে তুরস্কের আকসারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএচডি শিক্ষার্থী মু. তারিকুল ইসলাম The Impact of Social Media on Muslim Society: From Islamic Perspective” শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স অধ্যয়নরত সাইয়্যেদ মাগফুর আহমদ ও মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অধ্যয়নরত আবদুল্লাহ মুহাম্মদ জাভেদের যৌথ প্রবন্ধ “Islamic Economy: Can it be an Alternative to Socialism and Capitalism?” উপস্থাপন করা হয়।
প্রবন্ধ উপস্থাপক তারিক, ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলিম সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব সর্ম্পকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার মতে ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো, খুব সহজে যে কোন জায়গা থেকে যে কোন সময় কুরআন, হাদিস ও ইসলামের বিভিন্ন বিষয় জ্ঞান অর্জন করা এবং বিতরন করা যায়। একজন অপরিচিত মানুষকেও যুক্তি সহকারে ইসলামের সুমহান ছায়া তলে আহবান করা যায়। এটি মানুষকে সামাজিকী করণে উৎসাহিত করে। নেতিবাচক দিকসমূহের মধ্যে সময় অপচয়, কুসংস্কার, সামাজিক দুর্নীতি বৃদ্ধি, গবেষণা ক্ষমতা হ্রাস, পারস্পরিক দক্ষতার অভাব, ইসলাম সম্পর্কে তথ্য বিকৃতি, মিথ্যা গুজব ছড়ানো, অনইসলামিক ডেটিং, চ্যাটিং এবং জুয়া, অসচেতন মূলক বিবৃতি ও অরুচি মূলক ছবি প্রচার ইত্যাদি বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন তারিক।
প্রবন্ধ উপস্থাপক জাভেদ পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রে পরিচালিত দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কিউবা, ভেনেজুয়েলা, চীনের মতো দেশগুলোর চিত্র তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। অন্যদিকে ইসলামী অর্থনীতি চর্চাকারী দেশ হিসেবে মালেশিয়ার বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বর্তমান সময়েও ধারাবাহিকতা রক্ষায় মোট দেশীয় পণ্য উৎপাদনে আমূল উন্নতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলামী অর্থনীতির চর্চা অব্যহত রয়েছে। বিগত চার শতাব্দী ধরে ধনী ও গরিবের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিকারী পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রবাদের নেতিবাচক দিকগুলো তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণিত করে তার পরিবর্তে ইসলামী অর্থনীতির কালজয়ী অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তরূন এই গবেষক।
এই কনফারেন্সে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ১২২ জন গবেষক তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তরূন এই গবেষকদের বাড়ি ফেনী জেলায়।
Discussion about this post