নিরাপত্তার জন্য সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে কোন অর্থ পরিশোধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ‘‘আসলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা যত সমরাস্ত্র, সামরিক উপকরণ ও সেবা গ্রহণ করেছি সবই অর্থের বিনিময়েই গ্রহণ করা হয়েছে।অর্থ ছাড়া কোন কিছুই গ্রহণ করা হয়নি।’’
গত বুধবার সৌদি রাজপ্রাসাদে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ব্লুমবার্গ পাবলিকেশন্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
বিন সালমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক যখন থেকে শুরু হয়, তখন থেকেই আমরা অর্থ দিয়েই সবকিছু ক্রয় করেছি।তিনি আরো বলেন, ”ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমরা আগামী ১০ বছরে আমাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সামরিক চাহিদার ৬০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দেশের বর্তমান সম্পর্ক সন্তোষজনক বলেও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সৌদি বাদশাহ তথা রাজতন্ত্র সম্পর্কে একটি অবমাননাকর মন্তব্যেরও দেশটির ভবিষ্যৎ বাদশাহ এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বুধবার মিসিসিপিতে অনুষ্ঠিত এক র্যালিতে বক্তব্য দেয়ার সময় সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রধান মিত্র সৌদি আরব এবং এর বাদশাহ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ছাড়া দেশটি দুই সপ্তাহও টিকে থাকতে পারবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরাই সৌদি আরবকে টিকিয়ে রেখেছি। আপনারা বলবেন তারা ধনী।হ্যা, আমি বাদশাহ সালমানকে পছন্দ করি, এবং আমি তাকে বলেছি, আমরাই আপনাদেরকে রক্ষা করছি, আমাদের সামরিক সহায়তা ছাড়া আপনা দুই সপ্তাহও টিকে থাকতে পারবেন না।’’ এজন্য সৌদি আরবের কাছে বিনিময়ও দাবী করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ঐ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিন সালমান বলেন, তিনি তার (ট্রাম্পের) সাথে কাজ করতে ভালোবাসেন।ইতোমধ্যে তারা দুজন মধ্যপ্রাচ্যে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন, যেমন চরমপন্থী ও চরমপন্থার আদর্শের এবং আইএসের বিরুদ্ধে।
ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ক্রাউন প্রিন্স সালমান বলেন, ‘‘ বন্ধুদের মধ্যে কখনো কখনো মতপার্থক্য হতেই পারে।যে কোন বন্ধু যে কোন সময় ভাল-মন্দ দুটোই বলতে পারে।সব সময় একশোভাগ ভাল বলবে এটা কখনো হতে পারে না।এমনকি নিজ পরিবারের মধ্যেও এটা হয় না।’’ তিনি মনে করেন এটা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে হবে।
Discussion about this post