সেলিব্রেটিবিডি:
চলচ্চিত্রের এই সময়ের আলোচিত নায়ক সিয়াম গান গেয়েছেন তাঁর অভিনীত ‘দহন’ ছবিতে। ‘মাতাল’ শিরোনামে এই গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আকাশ সেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মগবাজারের ফোকাস মিডিয়া স্টুডিওতে গানটির কণ্ঠ দেন সিয়াম। এ প্রসঙ্গ ধরেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
‘দহন ছবির যে গানে কণ্ঠ দিলেন, সেই ‘মাতাল’ গান সম্পর্কে জানতে চাই।
আসলে এই গানের মাধ্যমে ছবির নায়ক ‘তুলা’কে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। আমি গানের ‘র্যাপ’ অংশটুকু গেয়েছি। মূল গানের শিল্পী আরিফ। আর এটাই কোনো গানে আমার প্রথম কণ্ঠ দেওয়া।
গানের দু–একটি লাইন কি বলা যাবে?
‘হাজির বিরিয়ানি, মালে ঢাল পানি’। বাকিটা বললে মজা থাকবে না।
‘দহন’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
আমার চরিত্রের নাম ‘তুলা’। বাবা-মা নেই। একা একা বড় হয়েছ। মাদকাসক্ত। রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। মিছিল–মিটিংয়ে লোক সাপ্লাই দেওয়া কিংবা গাড়ি ভাঙচুর করে। এত কিছুর পরও সে মনে করে, মানুষের জীবন ক্ষমতা বদলের হাতিয়ার হতে পারে না। তুলা বড় কিছু হতে চায়। আবার সে যাকে ভালোবাসতে চায়, তাকে জান-প্রাণ দিয়েই বাসতে চায়।
‘পোড়া মন ২’-এর পর ‘দহন’। দুটি ছবির পরিচালক রায়হান রাফি, নায়িকা পূজা চেরি। চমৎকার রসায়ন তৈরি হয়েছে নিশ্চয়ই। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হবে?
আমি আশাবাদী। আমাকে আর পূজাকে যেভাবে ‘পোড়ামন ২’ ছবিতে দর্শক গ্রহণ করেছে, সেই ধারাবাহিকতায় ‘দহন’। এ ছবিতে জাকিয়া বারী মম আছেন। আশা করছি, এই ছবিটিও দর্শক গ্রহণ করবেন।
‘দহন’ এ বছরই মুক্তি পাবে?
এটি জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রোডাকশন। তাদেরও ভাবনা এ বছরে মুক্তি দেওয়ার। আমিও তা-ই আশা করছি।
আরেকটি চলচ্চিত্রেও আপনি কাজ করেছেন ‘ফাগুন হাওয়ায়’। ওই ছবির খবর কী?
ছবির কাজ শেষ। পরিচালক তৌকীর আহমেদ। আমার সঙ্গে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এ ছবির পটভূমি মহান ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে। তৌকীর ভাইয়ের ইচ্ছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার।
হাতে নতুন কোনো ছবি আছে?
সে অর্থে কোনো ছবি নেই। তবে কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হাতে এসেছে। সব কটি পড়েছি। তবে একটি বাদে মনে হয় না বাকিগুলোয় কাজ করব। সত্যি কথা বলতে, ছবির প্রস্তাব পাই অনেক, কিন্তু ভালো স্ক্রিপ্ট পাই না।
সিয়ামের পেছনে ফিরে তাকালে আমরা তাঁকে নানা রূপে দেখি। প্রথমে বিজ্ঞাপনের মডেল। তারপর মিউজিক ভিডিওর মডেল, টিভি নাটক থেকে চলচ্চিত্র নায়ক।
হ্যাঁ। অনেক কিছুই করেছি। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা কোম্পানির বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেলিং দিয়ে শুরু। এরপর বেশ কিছু টিভিসি করি। ওইগুলো দেখেই ‘পপকর্ন’ থেকে নাটকে অডিশন দেওয়ার প্রস্তাব পাই। এরপর রেদওয়ান রনির ‘ভালোবাসা ও ওয়ান’ নাটকে প্রথম কাজ করা। ফাঁকে কয়েকটা মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছি।
উপস্থাপক বা সঞ্চালনার চেয়ারেও আপনাকে দেখেছি।
হ্যাঁ। প্রথমটা ছিল আরটিভির ‘লেট নাইট কফি’। এরপর একুশে টিভিতে সাবিলা নূর আর আমি করতাম ‘সিম্পল লাভ স্টোরি’।
এত কিছুতে নিজেকে জড়ানোর কোনো কারণ আছে?
না। আসলে কাজ করতে গিয়ে নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ পেয়েছি। সানন্দে গ্রহণ করেছি। পারব কি পারব না বা কতটুকু ভালো করব, সেটা না ভেবেই কাজ করেছি। মানে কাজটাকে সব সময় উপভোগ করেছি। দেখা গেছে, কোনো না কোনোভাবে সব কটিতেই সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ আসে, সেটাও নেব।
এখন চলচ্চিত্র অভিনয়ে এসে থিতু হয়েছেন। এটাই কি অভীষ্ট লক্ষ্য ছিল?
না। আমার কোনো ডিটারমিনেশন ছিল না। প্রত্যেক অভিনেতার একটা স্বপ্ন থাকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার। সুযোগ এসেছে। কাজ করেছি। তবে আমি চাই মানুষের ঘরে ঘরে, মনে মনে পৌঁছাতে। আমি এমন কিছু করে যেতে চাই, যেন মৃত্যুর পরও মানুষ আমাকে মনে রাখে।
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post