স্বপ্ন ছিল প্রবাসে পরিশ্রমের আয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। সবার মুখে হাসি ফোটানো। এ স্বপ্ন নিয়েই চার বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান মুহাম্মদ হাসান। কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।হাসান রাজধানী আবুধাবির বিদা যায়েদ এলাকার একটি আরবি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ মার্চ ডিউটি সেরে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। পরে ২০ এপ্রিল মৃত্যু হয় তার।
নিহত হাসানের বাবা মুহাম্মদ সেলিম জানান, দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ২০ এপ্রিল হাসানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২২ বছর।তার মৃত্যুতে কর্মরত কোম্পানি তার আর্থিক পাওনা পরিশোধ করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে এবং আগামী ১৮ মে দীর্ঘ ২৮ দিন পর ছেলের মরদেহ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।বর্তমানে ঈদের সময়ে বিমানের টিকিট সংকটের কারণে মরদেহ দেশে আনতে দেরি হচ্ছে। আবুধাবিতে বিমানের টিকিট না হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত দুবাই হয়ে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা পর্যন্ত হাসানের মৃতদেহ পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
হাসানের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ রসুলপুর গ্রামে। মরদেহ পাঠানোর পেছনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ বিমানের ভূমিকা রয়েছে।
Discussion about this post