খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে দুই কেবিন ক্রুকে ওই ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা হলেন– আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো: কামরুল ইসলাম বিপোন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার মধ্যরাতে সরিয়ে দেয়া হয় ওই দুই কেবিন ক্রুকে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে আল কুবরুন নাহার কসমিক নিয়মিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতার সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। শাস্তি হিসেবে একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হয়েছেন।
অপরদিকে জুনিয়র পার্সার কামরুল ইসলাম বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের নানা কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট পালনের জন্য নিয়মিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দেয়া, শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা ও বিমানে শেখ রাসেল দিবস পালনেরও অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।
উল্লেখ্য, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে ছেড়ে সিলেট হয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ তথা বাংলাদেশ সরকার অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিমানের লন্ডন-সিলেট-ঢাকা’র পরিবর্তে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটি বেগম জিয়ার কাছে পৌঁছালে বিমানের অন্য সহযাত্রীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে তিনি বিমান কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবটি নাকচ করেন। মানবতার আরেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ৪ মাস ২৮ দিন পর অর্থাৎ আগামী ৫ মে সোমবার দেশে ফিরছেন তিনি
Discussion about this post