রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা। আজ রবিবার রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান। এ সময় যেতে না পারা কর্মীরা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ আরো ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা বলেন, গত ৩১ মে মালয়েশিয়া প্রবেশের শেষ সময় হলেও এজেন্সিগুলো অজানা কারণে তাদের সে দেশে পাঠাতে পারেনি।
এর মধ্যে একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও অনেকেই টাকা ফেরত পাননি। অভিযোগ জানানোর পরও এর কোনো সুরাহা হয়নি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
কর্মীরা দাবি তুলে বলেন, ‘টাকা দিয়ে দুই বছর সময় পার করেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারিনি, আমরা আর মালয়েশিয়ায় যেতে চাই না, আমাদের টাকা ফেরত চাই।
সিন্ডিকেটের ১০০ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে মালিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং বিদেশে পলাতক মালিকদের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে হবে।’
কর্মীদের সমস্যার সমাধান না করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা ট্রাভেল এজেন্ট, সাব এজেন্ট ও দালালদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটিতে অভিযোগ করার ৩-৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিস্পত্তি না হওয়ার ব্যাখ্যা দিতে হবে। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় সরকারি কোনো ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ক্ষতিপূরণ আদায় করে না দিতে পারলে সরকারকে ব্যর্থতার দায়গ্রহণ এবং সরকারি খরচে প্রত্যেককে মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে বিনা খরচে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
Discussion about this post