আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় দেড় যুগ পাড়ি দিয়ে ক্যারিয়ার যখন সায়াহ্নে, তখনই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ করল আইসিসি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, সাকিব যেহেতু ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে সব প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফলে সাকিব বাংলাদেশের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিং করতে পারবেন না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে যেহেতু দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব, তাই বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগগুলোতেও তার খেলার তেমন কোনো সম্ভাবনাই নেই।
আইসিসির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তার বোলিং অ্যাকশন মূল্যায়নের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে ইসিবি।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। সমারসেটের হয়ে ম্যাচটিতে বেশ দারুণ বলও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট দেন আম্পায়াররা। এরপর জানা যায়, সাকিবকে বোলিংয়ের পরীক্ষা দিতে হবে।
সাকিব এ মাসের শুরুতে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বোলিং পরীক্ষা দেন। যেখানে দেখা গেছে, বোলিং অ্যাকশনে কনুইয়ের প্রসারণ সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রি বাঁকানোর যে সীমা আছে সেটি অতিক্রম করেছেন তিনি।
সাকিব যে দিন মূল্যায়ন পরীক্ষা দিয়েছেন অর্থাৎ, এ বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে এ নিষেধাজ্ঞা। তবে এরপর আবারো পরীক্ষা দিতে পারবেন তিনি। পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইসিবি-এর কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না বাংলাদেশী এ তারকা।
Discussion about this post