বরগুনার আমতলীতে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর লাঠির আঘাতে তিন্নি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. মনিরুল ইসলামকে (২২) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার মনিরুল (২২) আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের হারুন খাঁর ছেলে এবং নিহত তিন্নি একই উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামে নিজাম হাওলাদারের মেয়ে।
আমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, বিকালে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাগের মাথায় স্বামী মনিরুল লাঠি দিয়ে তিন্নির মাথায় আঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বামী এবং শাশুড়ি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন্নিকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ মনিরুলকে আটক করে।
মনিরুল ইসলামের চাচাত ভাই নুর আলম বলেন, তিন্নি ও মনিরুলের আট মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তিন্নি। ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের জন্য দুপক্ষের মধ্যে পারিবারিকভাবে আলোচনা হয়। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে তিন্নি আর যোগাযোগ না রাখার কথা দিলে বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়।
তিনি বলেন, কিন্তু এরপরও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন্নি তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মনিরুলের কাছে ধরা পড়েন। এ সময় মনিরুল উত্তেজিত হয়ে লাঠি দিয়ে তিন্নির মাথায় আঘাত করে। এতে তিন্নি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তিন্নিকে অচেতন অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুর বলেন, অভিযুক্ত মনিরুলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post