সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পরিচয়ে পাঁচ বছরের ছেলে সন্তানকে রেখে যুবদল নেতার সঙ্গে পালিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বউ। নোয়াখালী হাতিয়ার নলছিরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় একটি ছেলে কান্না করছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কান্না করা ছেলেটি পালিয়ে যাওয়া আয়শা চৌধুরী শারমিনের সন্তান।
যুবদল নেতা সজীব আহমেদ উপজেলার ৮নং সোনাদিয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের রমু ছৌয়াল বাড়ির মোশারফের ছেলে। তিনি সোনাদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা। তার স্ত্রী ও ১টি ছেলে ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পালিয়ে যাওয়া আয়শা চৌধুরী শারমিন নলচিরা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য ইউনূসের স্ত্রী।
জানা যায়, ৯ বছর আগে শারমিনের সঙ্গে ইউনূসের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২ মাস আগে যুবদল নেতা সজীবের সঙ্গে শারমিনের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের মাধ্যমে তাদের কথোপকথন শুরু হয়। সরকার পতনের পর ইউনুস আত্মগোপনে থাকার সুবাদে গত ৫দিন আগে সজীব শারমিনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মাকে না পেয়ে ৫ বছরের শিশু আরিয়ানের কান্না থামছেই না।
এ বিষয়ে ইউনূস বলেন, যেটা হওয়ার হয়ে গেছে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি আমার সন্তান নিয়ে ভালো আছি।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা সজীব আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
Discussion about this post