সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।
এ নিয়ে সোমবার থেকেই ফেসবুকে সাধারণ জনতার উচ্ছ্বাস দেখা যায়। যা মঙ্গলবারও (২৬ নভেম্বর) ফেসবুকে এ নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায়।
নেটিজেনদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক দিন পরে একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা আশা করি সরকার ইসকনকে নিষিদ্ধ করবে। ইসকন সমাজে কোনো ভালো কাজ করে না। বাংলাদেশে ইদানিং যত সংঘাত হয়েছে এর পছেনে ইসকনের হাত রয়েছে। তারা আসলে বিশ্বের মধ্যে ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে।
অনেক নেটিজেন ফেসবুকে তার গ্রেপ্তারের ছবি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ লেখে পোস্ট করেন। আবার অনেকে বলেন, আজ খুশির দিন। অনেক দিন পর আজ বন্ধুরা মিলে একসাথে পার্টি করবো।
সাইদুর রহমান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ভারতের দালাল। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মো. হানিফ জুয়েল নামে একজন লিখেছেন, চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার পেছনে তার ভূমিকা অনেক বেশি।
মো. রাজ আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, তাকে গ্রেপ্তার এই মুহূর্তে করা ঠিক হয়নি। যারা খুশি হয়েছেন তারা সবাই পরে আবার আফসোস করবেন। চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটা গোষ্ঠী যাচ্ছে দেশে হাঙ্গামা তৈরি করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগদের পুনর্বাসন করতে।
আবার অনেকেই লিখেছেন, ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ফ্যাসিস্টের দোসর। তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।
Discussion about this post