প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যে মানুষটা এক সময় সবার চেয়ে প্রিয় ছিল, যার সঙ্গে কাটত সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো, সে মানুষটার সঙ্গেই ব্রেকআপের পর আর হয়তো যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি। তবে অনেকেরই হয়তো কৌতূহল জাগে পেছনে ফেলে আসা সেই মানুষটির খোঁজ নিতে।
যদি আপনার মাঝেও এমন কৌতূহল থেকে থাকে, তবে হারিয়ে ফেলা সেই প্রিয় মানুষকে পাঠাতে পারেন এসএমএস।
আজ ‘টেক্সট ইওর এক্স ডে’ বা প্রাক্তনকে টেক্সট পাঠানো দিবস।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৩০ অক্টোবর ‘ন্যাশনাল টেক্সট ইয়োর এক্স ডে’ পালন করা হয়।
দিবসটি আপনিও চাইলে উদযাপন করতে পারেন। খোঁজ নিতে পারেন আপনার প্রিয় মানুষটির। আপনার মনে জমে থাকা কথাগুলো চিন্তা করুন, তারপর অতীতের মানুষটাকে তা পাঠিয়ে দিতে পারেন।
অতীত সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে মানুষকে সাহায্য করতে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ফেলে আসা সম্পর্কের মানুষগুলো কেমন আছেন তা জানার কৌতূহল দূর করাও দিবসটির আরেকটি লক্ষ্য। অতীতে তিনি আপনাকে কতটা কষ্ট দিয়েছেন তা নিয়ে আজ না ভাবাই ভালো। বরং তিনি আপনার জীবনকে কতটা রাঙিয়ে তুলেছিলেন তা আনন্দের সঙ্গে মনে করিয়ে দিতে পারেন এসএমএস পাঠিয়ে।
১৯৮৪ সালে জার্মানিতে টেক্সটিং বা এসএমএসের (সংক্ষিপ্ত বার্তা) ধারণা বিকশিত হলেও কার্যকর হতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল। ২২ বছর বয়সী এক প্রকৌশলী ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে কম্পিউটার ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে ‘মেরি ক্রিসমাস’ লিখে পাঠান।
প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি তখন থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। এসএমএস হয়ে উঠেছে আধুনিক যোগাযোগের সর্বাধিক ব্যবহৃত ফর্ম। বিশেষ করে ৬০ বছরের কম বয়সীরা এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
বর্তমানে মানুষ পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও বন্ধুদের এসএমএস পাঠালেও প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধবী, স্বামী-স্ত্রী সাধারণত একে অপরকে এসএমএস দেন না। এজন্য প্রাক্তনদের সঙ্গে যোগাযোগে উৎসাহিত করতে এ দিবসটি পালন করা হয়।
Discussion about this post