সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় এসব ঘটনা ঘটে। দুপুরে বজ্রপাতে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম মুক্তিখলার একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিক উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে ইমদাদুল ইসলাম (৫০)। দুপুর দেড়টায় বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন চার শ্রমিক। এসময় বজ্রপাতের ঘটনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইমদাদুল ইসলাম। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন জানালেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইসিজি করে কোনো পালস পাইনি। ঘটনাস্থলেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে তার। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুই শিশুর।
তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত শিশুরা হলো ইউনুস মিয়া (৮) আরাফাত হাসান মেহেদী (৭)। ইউনুস উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম রাধানগরের ফজলুল হকের ছেলে। অপর নিহত শিশু মেহেদী (৭) তার ফুফাতো ভাই। সে উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো আরাফাত। শনিবার দুপুরে মামাতো ভাই ইউনুস ও আরাফাত উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে খেলার ছলে পানিতে নামে। এসময় এক ভাই ডুবে গেলে, বাঁচানোর জন্য আরেক ভাইও ডুবে মারা যায়। কিছুক্ষণ পর একজনের লাশ ভেসে ওঠে। শেষে খোঁজাখুঁজি করে আরেকজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের ওসি কাউছার আলম তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বললেন, বজ্রপাতে একজন এবং পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।
Discussion about this post