নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন মো. বাবুল (৪৭), সেলি (৩৬), মো. সুয়েল (২২), মুন্নি (২০), মো. ইসমাইল (১৬) ও তাসলিমা (১৩)।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয় ডহর গাও এলাকার বাসিন্দা তুহিন মিয়া জানান, রাত দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
দগ্ধ বাবুলের চাচা মোগল মিয়া জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। আমরা ধারণা করছি, লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয়জনই দগ্ধ হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহতরা কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা এই মুহূর্তে সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। বর্তমানে সবাইকেই বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে নারী ও শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
Discussion about this post