শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে এই তথ্য জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
পোস্টে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গত মে মাসে গাজা নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা ‘অতুলনীয় সমৃদ্ধি’ উপভোগ করবে।
পরিকল্পনায় গাজায় বন্দর, সৌর বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থেকে সুবিধা লাভের মতো বিনিয়োগের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরিকল্পনার আওতায় ইসরাইলি দখলের অধীনে ফিলিস্তিনিরা এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোট এই বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে, যেখানে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কো শরিক থাকবে।
এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর আবদুল্লাহ বিন জায়েদ নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের কোনো বৈধতা নেই, এবং এ বিষয়ে আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইলের প্রতি সমর্থন প্রসঙ্গে সাধারণত ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুর মেলায় লন্ডন। তবে গত সপ্তাহে স্টারমারের সরকার গাজায় সামরিক অভিযানে ব্যবহারের জন্য ইসরাইলের অস্ত্র রফতানি করার কিছু লাইসেন্স স্থগিত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের কার্যক্রমে নিরীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় লন্ডন।
Discussion about this post