সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেন জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতারা।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বটতলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন পার্টির নেতা-কর্মীরা। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাজেট অধিবেশনে প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে দাবি উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি দলগতভাবে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয় এবং ছাত্রদের মুক্তিসেনা হিসেবে উল্লেখ করে।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সময় সংবাদকে বলেন, জিএম কাদের কোনদিন যাত্রাবাড়ি যায়নি। ঘটনা হয়েছে যাত্রীবাড়িতে আর বাদি হয়েছে মোহাম্মদপুরের। এ ধরনের বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মামলা হয়েছে। এ মামলা ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না হলে রংপুরকে অচল করে দেওয়ার মত ক্ষমতা জাতীয় পার্টির আছে। সেই সক্ষমতা আমরা জানান দিবো।
‘ইনশাআল্লাহ’ পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘আন্দোলনে রংপুর, ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টি বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে। রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ে ছাত্র-জনতাকে জাতীয় পার্টি অভিনন্দনও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি জাতীয় পার্টি আন্দোলনের পক্ষে থাকলেও একটি মহল তাদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, উনার সহধর্মিণী ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরসহ অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। আমরা এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্যসচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতি সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মিঠাপুকুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান আনিস, মহানগর ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফ, সভাপতি আমিনুল ইসলামি ছোট, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জসিম, জেলা ছাত্রসমাজ আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচিতে মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্র সমাজ, যুবসংহতি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, মহিলা পার্টি, শ্রমিক পার্টি, ওলামা পার্টি, সাংস্কৃতিক পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
Discussion about this post