১ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হয়েছে সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম। এরপর ২০ দিন চলে গেলেও ভিসা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি অবৈধ অভিবাসীরা। বিশেষ করে শারজাহ ও আজমানে সহজভাবে ভিসা অনুমোদন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক প্রবাসী।
চলতি মাসে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ, আমিরাতের কোনো প্রদেশ থেকে তা আর পুনঃনবায়ন করা হচ্ছে না। অপরদিকে বাংলাদেশ মিশনেও সেবা নিতে এসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।
সাধারণ ক্ষমার সেবা নিতে আসা অভিবাসীরা জানান, ১০ বছরের সাধারণ ই-পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে ৫১০ দিরহাম চার্জ করা হলেও আবার পাসপোর্ট দ্রুত পার্সেল ডেলিভারির জন্য ২০০ দিরহাম বাড়তি নেয়া হচ্ছে আমিরাতের দুটি মিশনে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৭৮৫ টাকা একটি পাসপোর্ট নিতে ব্যয় হয় সাধারণ প্রবাসীদের। যা বাংলাদেশের তুলনায় তিনগুণ। যেসব প্রবাসী প্রবাসে ব্যর্থ হয়ে নিঃস্ব অবস্থায় নিজ দেশের মিশনে একটি ট্রাভেল পারমিট নিতে যান তাদের কাছ থেকেও আদায় করা হয় প্রায় ৬০ দিরহামের ওপরে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কনসুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনালে বিএম জামাল হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের আশা দিয়েছেন যে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ পাসপোর্টই দুবাই পৌঁছে যাবে। এরপর আমরা সেবাগ্রহীতাদের কাছে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে পারব।
এদিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় বাংলাদেশ মিশন দুবাইয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৮২টি ই-পাসপোর্টের আবেদন করা হয়েছে। এমআরপি পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করা হয়েছে ১ হাজার ২৭৪টি।
অন্যদিকে, আবুধাবি বাংলাদেশ মিশনে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৯৬৬টি ই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি নবায়নের আবেদন হয়েছে ১ হাজার ৮৯৫টি।
Discussion about this post