কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বোরোবি) অন্যতম সমন্বায়ক আবু সাঈদ আবু সাঈদের (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় রংপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামে জাফরপাড়া মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আবু সাঈদ। জানাজায় ইমামতি করেন, আবু সাঈদের আত্মীয় মো. সিয়াম মিয়া। এসময় মানুষের ঢল নামে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আবু সাঈদের মরদেহ তার গ্রামে এসে পৌঁছে।
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন পেশায় একজন দিনমজুন। অর্থাভাবে কোনো ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি। আবু সাঈদ ছোট থেকেই ছিল অত্যন্ত মেধাবী। নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল সাঈদ। তাকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির। তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে এতদূর পর্যন্ত গিয়েছিল। মেধা ও আচরণে গ্রামে সবার প্রিয় ছিল সাঈদ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকায় থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সংঘর্ষে নিহত হন আবু সাঈদ।
Discussion about this post