চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ট্রোক করে দুবাইয়ে একটি হাসপাতালে মারা যান মিন্টু হোসেন (৪০) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। দীর্ঘ তিন মাস পর দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসেছে তার মরদেহ।
শুক্রবার (১৭ মে) তার মরদেহ দেশের বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে আনা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় বাদ মাগরিব নামাজ শেষে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত জামাল জোয়াদারের ছেলে
দেশের স্থানীয় এক দৈনিক গণমাধ্যম বরাত জানা গেছে, মারা যাওয়ার পর অর্থের অভাবে ওই সময় পরিবারের লোকজন মিন্টুর মরদেহ দুবাই থেকে দেশের বাড়িতে আনতে পারেনি। এরপর মিন্টুর মরদেহ দেশে আনতে আকুতি জানান তার পরিবার। কয়েকজন প্রবাসী ও দেশের কিছু বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এবং ঋণ করে মিন্টুর মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
এরআগে, পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে মা, স্ত্রী ও দুটি কন্যা সন্তান রেখে অর্থ উপার্জনের জন্য ঋণ করে বাংলাদেশ থেকে একটি কোম্পানির ভিসায় গত ২০২১ সালে পাড়ি জমান দুবাইয়ে। কয়েক মাসের মাথায় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি হয়ে যান অবৈধ প্রবাসী। অনেক চেষ্টার পরেও বৈধ প্রবাসী হতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে দীর্ঘ তিন বছর গোপনে দুবাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। এতে করে তার ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা নিজের খাওয়া-পড়াও জোটাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন মিন্টু। এরই মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ট্রোক করে দুবাইয়ে একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মিন্টুর স্ত্রী পারভীন বেগম এক গণমাধ্যমকে জানান, কয়েকজন প্রবাসী ও দেশের কিছু বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এবং ঋণ করে স্বামীর মরদেহ বাড়িতে আনি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাদ মাগরিব শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। প্রবাসী মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার পরিবার।
জেআই/
Discussion about this post