সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন-এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জনতা ব্যাংক-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সকল বেসরকারী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত-এর মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।
সভার শুরুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক উন্নয়ন গতিধারাকে ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর উপর দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, সাধারণ শ্রমিক ও বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণ আলোচনা সভায় অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত সকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করাসহ শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” গড়ার লক্ষ্যে সকলকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরনকারী সদস্যদের, সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আত্মত্যাগী দুই লক্ষ মা-বোনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বিদেশী নাগরিক যাঁরা সেসময় বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এসময় তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার এবং জাতির জনকের “সোনার বাংলা” রূপায়নসহ বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
শেষাংশে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জেআই/
Discussion about this post