মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমার খুৎবা প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিষয়ঃ পবিত্র কুরআনের মাস মাহে রমজান।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য । যিনি এই কুরআন দ্বারা মু’মিনদের আত্মাশুদ্ধি ও হৃদয় আলোকিত করেছেন ।
সীমাহীন রহমত ও দয়া নাজিল হোক মহানবী সাঃ’র প্রতি । যিনি সর্বাধিক সু্ন্দরভাবে এই কুরআন তেলাওয়াত করেছিলেন এবং সবচে’ উত্তম আমলদার ছিলেন । রহমত নাজিল হোক তাঁর পবিত্র পরিবার রাঃ, সাহাবীবৃন্দ রাঃ, তাবেঈনগণ রাঃ সহ গোটা মুসলিম জাতির উপর।
আল্লাহপাক বলেন “এই কুরআনে কোন প্রকারের সন্দেহের অবকাশ নেই এবং এটি পরহেজগার লোকদের জন্য সঠিক পথ প্রদর্শনকারী।”
সূরা আল্ বাক্বারা ২
অনুরুপভাবে আমি আমার নির্দেশ থেকে রুহকে আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি । আপনি জানতেন না কিতাব ও ঈমান কি জিনিস ! আমি এটাকে নূর বানিয়েছি এবং এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা আমার বান্দাদের মধ্যে থেকে হেদায়াত দিয়ে থাকি।
সূরা আশ শুরা ৫২
হযরত জিব্রাইল আঃ এই কুরআন নিয়ে অবতরণ করেন আপনার অন্তরে সুস্পস্ট আরবী ভাষায় । যাতে করে আপনি সতর্ক কারীদের মধ্যে থেকে হন ।
সূরা আশ শুয়ারা ১৯৩-১৯৫
মু’মিন তো তাঁরাই, যাঁদের সম্মুখে আল্লাহকে স্মরণ করা হলে অন্তর কেঁপে উঠে । তাঁদের সামনে কুরআন তেলাওয়াত করা হলে ঈমান বেড়ে যায় এবং তাঁদের উচিত তাঁদের রবের প্রতি ভরসা রাখা।
সূরা আনফাল ২
পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমজান । মানবজাতির জন্য হেদায়াত । হেদায়াত লাভের নিদর্শন এবং সত্য মিথ্যার মাঝে পার্থক্য নিরুপণকারী ।
সূরা আল্ বাক্বারা ১৮৫
মাহে রমজানের প্রতি রাতে হযরত জিব্রাইল আঃ রসুলের সাঃ কাছে অবতরণ করতেন এবং উভয়ে একে অপরকে সম্পূর্ণ কুরআন পড়ে শোনাতেন।
ছহীহুল বোখারি ৩২২০
ছহীহ মুসলিম ২৩০৮
প্রখ্যাত সাহাবী ওলিদ বিন মুগীরা রাঃ বলেন, “পবিত্র কুরআন অত্যন্ত মিষ্ট এবং শ্রুতিমধুর।”
তাফসীরে কুরতুবী ১৬৫-১০
সাহাবী খাব্বাব বিন আল্ আর্ত রাঃ বলেন, “পবিত্র কুরআন ছাড়া কেউই আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হতে পারেনা।”
আল্ মুস্তাদারাক ৩৬৫২
প্রখ্যাত ইমাম মালেক রহঃ, ইব্নে শিহাব জুহরী রহঃ সহ অসংখ্য আলেম দ্বীন মাহে রমজানে কুরআন তেলাওয়াতে অধিক সময় দিতেন ।
لطائف المعروف لابن رجب ١٧١
“পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পাঠ করার জন্য ১০টি ছওয়াব লেখা হয়। বিশ্বনবী সা:।
সুনানে তিরমিযি ২৯১০.
কুরআন ও রোজা পরকালে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে । রোজা বলবে “ আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছিলাম । কুরআন বলবে “ আমি তাকে রাতের বেলায় নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করুন । তাঁদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
মুসনাদে আহমদ ৬৬২৬
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সেই ব্যক্তি, যে কুরআন অধ্যয়ণ করে এবং অধ্যায়ণ করায়।
ছহীহুল বোখারি ৫০২৭
সুনানে তিরমিযি ২৯০৭
কেয়ামতের দিন কুরআন যুবক সদৃশ ধারণ করে কুরআন তেলাওয়াতকারীকে জিজ্ঞেস করবে তুমি কি আমাকে চিনো? সে বলবে-না । চিনিনা। কুরআন বলবে “আমি তোমার সঙ্গী কুরআন। আমি তোমাকে প্রচন্ড গরমের সময়ে পিপাসার্ত রেখেছিলাম এবং রাত্রে জাগ্রত রেখেছিলাম। তাকে বলা হবে“ সকল ব্যবসায়ী ব্যবসার পেছনে দৌড়তে থাকে । তুমিও আজ তোমার ব্যবসার ফলাফল পেতে যাচ্ছো । তাকে ডান হাতে রাজ্য এবং বাম হাতে অনন্ত কাল স্থায়ীত্ব প্রদান করা হবে । তাঁর মাথায় সম্মানের মুকুট পরানো হবে । তাঁর মা বাবাকে দুটো পোশাক পরানো হবে । যার মূল্য পৃথিবীর সবাই মিলেও দিতে পারবেনা । তাঁর মা বাবা জানতে চাইবে “কোন্ ইবাদতের কারণে এতো বড় প্রাপ্তি ?” জবাবে বলা হবে “ তোমাদের সন্তানের কুরআনের বদৌলতে । অতঃপর বলা হবে জান্নাতের সিডিতে আরোহন করো এবং তেলাওয়াত করতে থাকো ।”
সিলসিলাহ ছহীহা ২৮২৯
ইয়া আল্লাহ! এই মাহে রমজানে আমাদের সবাইকে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতে তওফিক দান করুন। আমাদের জন্য এবং আমাদের মা বাবাদের জন্য কুরআন ও রোজার সুপারিশ নসীব করুন।
আমাদের মা বাবাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন ।
MQM Saifullah Mehruzzaman
Khateeb
Rafaa Bin Araba
Government Jame Mosque
Sajja Sharjah UAE.
Discussion about this post