মাকে মারধরের অভিযোগে তিন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন খুরশিদা আক্তার নামের ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলা। আবার তাদের আগাম জামিন ঠেকাতে চট্টগ্রাম থেকে হাইকোর্টে এসেছেন ওই বৃদ্ধা। এঘটনায় অভিযুক্ত সন্তানেরা হলো- হামিদুল হক সোহেল, তাসলিমা আক্তার সুমি ও সেলিম রেজা।
এসময় বৃদ্ধা মা হাইকোর্টকে জানান, তার সন্তানদের জামিন দেওয়া হলে তারা তাকে মেরে ফেলবে। এমনকি এই সন্তানরা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সম্পত্তির জন্য ইতিপূর্বে তাকে মারধর করেছে। এ সময় তিন সন্তানকে আগাম জামিন না দিয়ে তাদের ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, আসামিরা বিচারিক আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে পারবেন। আদালত চাইলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিতে পারেন।
গত রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতকে সামাজিক অবক্ষয়ের কথা উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, যেখানে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে সন্তানদের দেখাশোনা করার কথা, সেখানে সম্পত্তির জন্য মারধর করে। এর আগে খুরশিদা আক্তার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করলে, সে টাকা নেওয়ার জন্যও সন্তানরা তাকে মারধর করে। এর মেডিকেল সার্টিফিকেটও তিনি জমা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আদালতের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছি। হাইকোর্ট বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন এবং খুব রূঢ়ভাবে বলেছেন, তাদের জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বৃদ্ধার সন্তানদের আইনজীবী আদালতকে জানান, আরেক মেয়ের ইন্ধনে খুরশিদা আক্তার এ মামলা করেছেন। এ মামলার আগে তারা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ সময় আসামিদের ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট বলেন, যে সন্তান মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, সে কোনোভাবেই ভালো হতে পারে না।
জেআই/
Discussion about this post