সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য — যিনি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর সর্বোত্তম সৃষ্টি, এবং তাঁকে দিয়েই নবী–রাসুলদের (আ:) সমাপ্তি ঘটিয়েছেন।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সাক্ষ্য দিচ্ছি — আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, এবং মুহাম্মদ সাঃ তাঁর বান্দা ও রাসুল।
হে ঈমানদারগণ!
আল্লাহকে ভয় করো এবং তাঁর রসুলের প্রতি ঈমান আনো।
তাহলে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেওয়া হবে, একটি নূর দেওয়া হবে যাতে তোমরা চলতে পারো, এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করা হবে।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।
সূরা আল হাদীদ ২৮হ্যাঁ প্রিয় ভায়েরা!
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি, সর্বোত্তম চরিত্রের একমাত্র উদাহরণ, আল্লাহর সবচে’ প্রিয় বান্দা, সকল নবী–রাসুলদের সম্রাট এবং পরকালের শাফায়াতকারী — সাইয়্যিদুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
আল্লাহ বলেন:
“তিনি (নবীজি সাঃ) প্রবৃত্তির অনুসরণ করে কোন কথা বলেন না। তিনি যা বলেন তা ওহী।”
সূরা আন–নাজম ৩–৪
আরো বলেন:
“তোমাদের সাথী (নবীজি সাঃ) পথভ্রষ্ট নন, বিপথগামীও নন।”
সূরা আন–নাজম ২নবীজি সাঃ উম্মতের দুঃখে দুঃখী হতেন, উম্মতের জন্য কাঁদতেন।
আল্লাহ বলেন:
“তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের কাছে একজন রাসুল এসেছেন; তোমাদের কষ্টে তিনি কষ্ট অনুভব করেন; তিনি তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, স্নেহশীল ও দয়ালু।”
সূরা আত–তাওবা ১২৮
আল্লাহ আরও বলেন:
“হে রাসুল! আমি কি আপনার জন্য বক্ষ উন্মুক্ত করে দিইনি?
আপনার বোঝা সরিয়ে দিয়েছি—যা আপনার কোমর ভেঙে দিচ্ছিল।
আর আমি আপনার শান–মর্যাদা উচ্চ করেছি।”
সূরা আশ–শারহ ১–৪ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন:
“আল্লাহ নবীজি সাঃ অপেক্ষা সম্মানিত কিছুই সৃষ্টি করেননি।
আল্লাহ কেবল তাঁর নামেই কসম করেছেন।”
সূরা আল–হিজর ৭২
তাফসীরে তাবারী ১৪/৯১
এক কবি বলেন:
“হে রাসুল! আপনার মর্যাদা কুরআনই বর্ণনা করেছে।
কুরআনের সূরাগুলো আপনার প্রশংসায় ভরপুর।”
(কিনজুল কিতাব, ১/৪৭৬)
আল্লাহ বলেন:
“হে নবী! আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে;
আপনি আল্লাহর পথে আহ্বানকারী এবং আলোকময় প্রদীপ;
ঈমানদারদের সুসংবাদ দিন—তাদের জন্য রয়েছে মহান পুরস্কার।”আরো বলেন:
“আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।”
সূরা আল–আম্বিয়া ১০৭
“তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য করো—হেদায়াত লাভ করবে।”
সূরা আন–নূর ৫৪
“তাঁরা সবাই (নবীগণ) আল্লাহর কাছ থেকে হেদায়েতপ্রাপ্ত।
(হে নবী) আপনি তাঁদের পথ অনুসরণ করুন।”
সূরা আল–আন‘আম ৯০
“হে রাসুল! আপনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।”
সূরা আল–কলম ৪
নবীজি সাঃ উম্মতের কষ্টের আশঙ্কায় মক্কার ঘরকে মূল ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ করেননি।তিনি বলেন—
“আমি উম্মতের কষ্টের ভয়ে কাজটি করিনি।”
সুনানে তিরমিজি ৮৭৩
তিনি বলেন:
“হাউজে কাওসারের ধারে উম্মতকে পান করাবো—আমি হবো উম্মতের অগ্রনায়ক।”
সহীহ মুসলিম ২৪৯
আরো বলেন:
“যখন দুটি কাজ সামনে আসতো, যদি গুনাহ না থাকতো—তিনি সহজ পথটিই গ্রহণ করতেন।”
সহীহ বুখারি ৬১২৬
সহীহ মুসলিম ২৩২৭
আল্লাহ বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রতি ঈমান আনো। তাঁকে সাহায্য ও সম্মান করো।”
সূরা আল–ফাতহ ৯উবাই ইবনে কা‘ব রাঃ বলেন—
আমি জিজ্ঞেস করলাম: “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার দোয়ার কত অংশ আপনার প্রতি দরুদে ব্যয় করবো?”
নবীজি সাঃ বললেন: “যত তুমি ইচ্ছা।”
আমি বললাম: “চতুর্থাংশ?”
তিনি বললেন: “তোমার ইচ্ছা—আরো বাড়ালে উত্তম।”
আমি বললাম: “আমি পুরো সময়ই আপনার প্রতি দরুদ পড়বো।”
তিনি বললেন:
“তাহলে তোমার সকল দুঃশ্চিন্তা দূর হবে এবং তোমার সব গুনাহ মাফ হবে।”
সুনানে তিরমিজি ২৪৫৭
হে ঈমানদারগণ!
রসুলুল্লাহ সাঃ–এর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং করতে থাকো।দোয়া:
হে আল্লাহ!
আমাদেরকে প্রিয় নবীজির শাফায়াত দান করুন।
তাঁর মর্যাদা আরও উচ্চ করুন।
আমাদের মা–বাবাকে ক্ষমা করুন,
তাঁদেরকে জান্নাতুল ফিরদৌস দান করুন।
আমিন।
বি:দ্র:
শারজাহ হিউম্যানিটারিয়ান সংস্থা “৪৩৮০০ গোল্ড আওয়ার্স” শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।
শ্লোগান: “প্রতিবন্ধী ও বিকাশগত দূর্বল শিশুদের পরিচর্যা ও সেবায় এগিয়ে আসা।
”খতিব: এম কিউ এম সাইফুল্লাহ মেহরুজ্জামান
শুজা বিন ওহাব সরকারি জামে মসজিদ, শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত
























