দুবাইয়ের সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ (RTA) একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করেছে, যার মাধ্যমে মোটরবাইক দুর্ঘটনা অন্তত ৫০ শতাংশ কমানো হবে। “নিরাপদ শহরের জন্য এআই” ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাইকে বসানো হবে ক্যামেরা, মুখ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং টেলিম্যাটিক ডিভাইস। এগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে চালকরা যোগ্য, নিরাপদভাবে গাড়ি চালাচ্ছে এবং নির্ধারিত এলাকার সীমার মধ্যে অবস্থান করছে।
RTA’র পরিচালক সাঈদ আল রামসি বলেন, “ক্যামেরাগুলো চালকের আচরণ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবে। এটি গতি অতিক্রম, হঠাৎ ব্রেক, বেপরোয়া মোড় নেওয়া, উল্টো পথে চালানো এবং অন্যান্য ভঙ্গি শনাক্ত করবে, যাতে বোঝা যায় চালকদের কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি দরকার। এছাড়াও এটি নিশ্চিত করবে যে চালকরা সঠিক ইউনিফর্ম পরছে।”
বাইকে থাকা মুখ শনাক্তকরণ (ফেস রিকগনিশন) ব্যবস্থা চালক ফোন ব্যবহার করছে কি না বা রাস্তায় মনোযোগ দিচ্ছে কি না তা শনাক্ত করবে। সাঈদ আল রামসি জানিয়েছেন, মোটরবাইকে একটি জিও-ফেন্সিং ট্যাগও থাকবে, যা নিশ্চিত করবে চালক তার নির্ধারিত ডেলিভারি এলাকার বাইরে যাবে না। তিনি বলেন, “প্রতিটি ডেলিভারি চালক শুধুমাত্র নির্ধারিত এলাকার মধ্যে চলাচল করতে পারবে, যাতে তারা নিরাপদ থাকে। তবে কখনও কখনও কিছু চালক অবৈধভাবে দীর্ঘ দূরত্বে যান। এই সিস্টেম তা রোধ করবে। সব রিপোর্ট ফ্লিট ম্যানেজারের কাছে পাঠানো হবে পর্যালোচনা ও প্রশিক্ষণের জন্য।”
এই সিস্টেমটি বর্তমানে বিভিন্ন ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের ১২,০০০ বাইকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। সাঈদ বলেন, “২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমরা আশা করছি পুরো দেশে সব বাইকে এই সিস্টেম চালু হবে। দেশে বর্তমানে ডেলিভারি বাইকের সংখ্যা ৬৫,০০০। তবে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সম্প্রতি আরেকটি ডেলিভারি কোম্পানি দেশেও কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ডেলিভারি চালকরা আরও সতর্কভাবে বাইক চালায় এবং রাস্তায় সবার জন্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।”
সাঈদ আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই সিস্টেম ইউএই পাস এবং চালকের এমিরেটস আইডির সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে যে প্রতিটি চালক সেই বাইকই চালাচ্ছে যা তাকে নির্ধারিত করা হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু চালক—এমনকি লাইসেন্সবিহীনরাও—অবৈধভাবে ডেলিভারি বাইক চালাচ্ছে। নতুন এই সিস্টেম ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করবে।”




























