‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার, সমুন্নত রাখব তাদের অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শ্রম কল্যাণ উইংয়ের আইন সহকারী রেজাউল আলম।
মিনিস্টার (শ্রম) আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিমান বাংলাদেশ লিমিটেড ও জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি। এছাড়াও অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপস্থিত প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ তাদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক অনেক সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে সমস্যার সমাধানে করণীয় বিষয়ে উপদেশ দেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর হাজরা সাব্বির হোসন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই উপসাগরীয় এই দেশটি সর্বপ্রথম সফর করেছিলেন। ফলে উন্মুক্ত হয়েছিল এ দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কল্যাণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আগমন শুরু হয়েছিল, যার সুফল এখনো বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে।
অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিবসের যে প্রতিপাদ্য এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, আইওএমের সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের অঙ্গীকার এটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যারা বসবাস করেন তারা এদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালিত হন। আমাদের পরবর্তী জেনারেশনকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। মেধার সাথে সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। এজন্য অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী সন্তানদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
এসময় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত সমৃদ্ধ দেশে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেআই/
Discussion about this post