প্রবাসিরা আটকায় দায়িত্বে, মায়ায়, আবেগে। পৃথিবীতে হয়ত প্রবাসিরাই হচ্ছে এমন একটা মেশিন যারা টাকার মূল্য বুঝে কিন্তুু নিজের মূল্য কোনো দিনও নিজে বুঝে না। দায়িত্বের চাপে পড়ে আবেগে নিজেদের তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়। এমনও প্রবাসি দেখেছি দুই বেলা পেটে খাওয়ার জুটতে কষ্ট হয়, তার পরেও নাড়ির টানে স্বদেশে টাকা পাঠায় নিজে না খেয়ে। হয়তবা এটাকে বলা হয় দায়িত্ব।
পরিবার কখনও প্রবাসিদের কষ্টের মূল্যটা বুঝে না ! কষ্টের ভাগটাও নেয় না!! সঠিক খাদ্যাভ্যাস, প্রয়োজন মত ঘুমের অভাব, টেনশন, সঠিক চিকিৎসার অভাব ও মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেকে প্রবাসে স্ট্রোক ও হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। মিথ্যা আবেগের চন্নচায়ায় নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো নষ্ট হয়ে যায় প্রবাস নামক জেল খানায়।
অথচ একজন রেমিটেন্স যোদ্বাকে রাষ্ট্র সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে নাই! এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। প্রবাসে মৃত্যুর কোলে লুটে পড়া ব্যক্তিকেও রাষ্ট্র বহন করে না। নিজের রেমিটেন্সে নিজে বহন হতে হয়। অথচ রেমিটেন্স যোদ্বারাই রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের পূর্ণ অবস্হানে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
রাষ্ট্রের জন্য এত ত্যাগ শিকারের পরেও প্রবাসিরা পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি, বিমান বন্দরে হয়রানি, বিভিন্ন সরকারি সেক্টরে অবমূল্যায়ন হতে হয়।
এত কষ্টের পরেও স্বজনের সুখের জন্য প্রবাসিরা আমৃত্যু নিজের জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়ে যায়।\
রিয়াদ হোসেন
আরব আমিরাত প্রবাসি।
Discussion about this post