সংযুক্ত আরব আমিরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে এবং বিকেলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ে জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়।
আবুধাবির দূতাবাসের হল রুমে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, বঙ্গমাতা শুধু বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন নয়, বরং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন শুরুতে শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যসহ শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গমাতা ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে অভূতপূর্ব ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ রচনায় বঙ্গমাতাই একমাত্র অনুপ্রেরণা ছিলেন। সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি জাতির স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব দেশের মুক্তিকামী মানুষের কাছে নির্ভীক মাতৃছায়ার মতো ছিলেন। তিনি প্রবাসে বসবাসরত সকল নারীকে বঙ্গমাতার আদর্শ অনুসরণ করে চলার এবং সামনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী সমূহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা পাঠ করেন। পরে, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনায় সুধীজন তার দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদানের বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন।
কনস্যুলেটের অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ, বাংলাদেশ বিমান এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Discussion about this post