সকল অংশীজনকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি মালিকানাধীন লো-কস্ট বিমান সংস্থা উইজ এয়ারকে বিমান পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষ থেকে ক্যাব ছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইলন্স কর্তৃপক্ষকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল এই লিগ্যাল নোটিশ জারি করেন।
এতে বলা হয়, দেশের চলমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স, শিপিং কোম্পানিসহ নানা সেবামূলক খাতে সংকট বেড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তির আওতায় উভয় দেশের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ১৪০টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করার অনুমতি রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ১২০টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকলেও, বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ৬০-৭০ টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস বাংলা নতুন করে এয়ারক্রাফট কেনার চুক্তি করেছে। এ অবস্থায় আবুধাবিতে গঠিত বিমান সংস্থা উইজ এয়ারকে নতুন করে বিমান পরিচালনার সুযোগ করে দিলে বাংলাদেশি বিমান সংস্থাগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে।
ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের প্রভাবে বিভিন্ন স্বনামধন্য এয়ারলাইন্স কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের সেবা সীমিত করেছে এবং এই সংকট চলমান থাকলে এ খাতে ব্যবসা পরিচালনা করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়বে।
নোটিশে বলা হয়, নতুন এয়ারলাইন্সের অনুমোদন দিলে বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলো প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়বে। বিশেষ করে উইজ এয়ার লো-কস্ট (কম খরচে) এয়ারলাইন্স হওয়ায় সমস্ত ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়বে। এতে বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল এয়ারলাইন্স কোম্পানি পথে বসে যাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। এ অবস্থায় বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনাকারীরা ক্ষতির মুখে পড়লে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের সহায়তা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
Discussion about this post