সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর ২০২২ এর মধ্যে আমিরাতের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর সংখ্যক ভিক্ষুককে ধরেছিল।
পুলিশ বলেছে যে, অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ভিক্ষা করে মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বাসিন্দাদেরকে ভিক্ষুকদের টাকা না দেওয়ার এবং শুধুমাত্র নিবন্ধিত সংস্থার মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই পুলিশ বারবার জনসাধারণকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, ভিক্ষা করা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুলিশ বাসিন্দাদেরকে ভিক্ষুকদের সাথে জড়িত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে, পুলিশ রমজানের আগে এবং পবিত্র মাসে ভিক্ষুকদের দমন করতে টহল বাড়াচ্ছে।
আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, বেশিরভাগ ভিক্ষুক দেশের বাইরে থেকে সংগঠিত গ্যাং দ্বারা নিয়োগকৃত এবং পরিচালিত হয়। তারা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে প্রতারণা করে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো সতর্ক করে বলেন, “ভিক্ষা করা অন্যান্য অপরাধের দিকে নিয়ে যেতে পারে যেমন চুরি এবং শিশু, বৃদ্ধ এবং অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহের সংকল্পের লোকদের শোষণ করা ইত্যাদি।
গত বছর রমজানের সময়, দুবাই পুলিশ ৬০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল, যার মধ্যে ৩৮২ জন ভিক্ষুক এবং ২২২ জন রাস্তার হকার ছিল। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের কাছ থেকে ভিক্ষা সংক্রান্ত ২.২৩৫টি অভিযোগ পেয়েছে, যার মধ্যে ১.৯৫৬টি (901) কল সেন্টারের মাধ্যমে এবং ২৭৯টি ‘পুলিশ আই’ পরিষেবার মাধ্যমে।
ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের অনুপ্রবেশ বিরোধী বিভাগের পরিচালক কর্নেল আলী সালেম সাঈদ আল শামসি বলেছেন, পুলিশ ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করতে, এর বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের গাইড করতে তাদের বার্ষিক ভিক্ষাবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। এছাড়া অনুদানের জন্য নির্ভরযোগ্য ও অফিসিয়াল চ্যানেল বেচে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
‘ভিক্ষা করা সমবেদনার একটি ভুল ধারণা’ স্লোগানের অধীনে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ, দুবাইয়ের রেসিডেন্সি এবং ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের জেনারেল ডিরেক্টরেট এবং দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি সহ অংশীদারদের সহযোগিতায় প্রচারটি চালু করা হয়েছিল।
Discussion about this post