পূর্বাঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সাইদ আল-বাহেস ঘটনার ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, ভাড়া করা প্রাইভেট বাসের চালক কোনো শিক্ষার্থী বাসের ভেতরে রয়ে গেছে কি না তা যাচাই না করেই দরজা বন্ধ করে চলে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
বাসচালকের অগোচরে বাসের ভেতর শ্বাসরোধে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থী হাসানের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এ ঘটনার সময় কাতিফের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।
নিহতের বাবা হাসেম আলাভী আল-শুলা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিন্ডারগার্টেনের গাড়ি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যায়। গাড়িটি ১২ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতার একটি ছোট মাইক্রোবাস। চালকের সাথে সাধারণত একজন সহকারী থাকলেও ঘটনার দিন অসুস্থতার কারণে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। হাসানকে নেওয়ার সময় গাড়িতে আরো তিন শিশু ছিল। হাসানকে নেওয়ার পর চালক হিল্লাত মাহিশ শহরে অন্য ৯ শিশুকে নিতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরো জানান, সকাল সোয়া ১১টায় চালক তাকে ফোন দিয়ে জানান, তার ছেলে স্কুলবাসে রয়েছে এবং নড়চড়া করছে না। হাসানকে কেউ আঘাত করেছে কি না জানতে চাইলে চালক জানান, সে রকম কিছু হয়নি। হাসানকে গাড়ির আসনগুলোর মাঝে পাওয়া গেছে।
হাসেম তার ছেলেকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিতে চালককে অনুরোধ করেছিলেন। চালক স্কুলের কাছে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাসানকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই গাড়িতে হাসান মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন হাসানের বাবা। হাসানের কোনো রোগ ছিল না এবং গাড়িতে শ্বাসরোধে মারা গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হাসানের আরো দুই বোন এবং দুই ভাই রয়েছে। হাসান পরিবারে সবার ছোট।
হাসেম অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তিনি কিন্ডারগার্টেন থেকে হাসানের অনুপস্থিতির ব্যাপারে কোনো ফোন পাননি। মাইক্রোবাসটি খুব ছোট, চালক গাড়িটির দিকে ভালোভাবে তাকালেই হাসানকে খুঁজে পেতেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ শিশুটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে। স্কুলটি পরিদর্শন করার জন্য একটি কার্যকরী দল তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সাইদ আল-বাহেস। দলটি নিশ্চিত করবে যে সেখানে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শিশুটির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং তাদের ধৈর্য ও সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছে।
সূত্র : সৌদি গেজেট,ট্রেন্ড ডিটেইল নিউজ
Discussion about this post