এশিয়া কাপ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে। আগামী (২৭ আগস্ট) এ ইভেন্ট শুরু হবে দুবাই ও শারজা স্টেডিয়ামে। এ আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা কাজ করছে।
এশিয়া কাপ যত ঘনিয়ে আসছে ততবেশি উদ্দীপনা বাড়ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও বিরাজ করছে ব্যাপক উত্তেজনা। আসন্ন এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসরটি আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশের ক্রিকেটভক্তরা এটি বাড়তি পাওনা বলে মনে করছেন। এশিয়ার ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিত পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি সময়ে অনেক ছোট বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে। ১৯৮৪-১৯৯৫ ও ২০১৮-২০২২ সালে এই নিয়ে চারবার এশিয়া কাপ আয়োজন করে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে, তিন বছন পর আবার সাকিব আল হাসান এশিয়া কাপে টাইগারদের অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ায় ক্রীড়ামোদীদের মাঝে এক প্রকার উত্তেজনা কাজ করছে। কারণ সাকিব আল হাসানকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাকিবকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার কারণে স্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসীদের মাঝে।
এদিকে ইউএই প্রেসক্লবের সম্পাদক জনি বলেন, ভাগ্যক্রমে এবারও এশিয়া কাপের আসর বসতে যাচ্ছে আরব আমিরাতে। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপও আমিরাতে হয়েছে। সেইবার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছি। তবে পুরো টুর্ণামেন্ট আমাদের যে পরিমাণ আনন্দ দিয়েছে প্রবাসী হিসেবে এটি ভোলার নয়। এমনিতে দুবাই বা শারজাহ কেন্দ্রীক খেলাগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের দর্শক থাকে। এবার আফগানিস্তানেরও ভরপুর দর্শক থাকতে পারে বলে আমি আশাবাদী। এবার সাকিবের নেতৃত্ব খুব ভালো অবস্থান তৈরি করবে বাংলাদেশ। তাদের উৎসাহ দিতে প্রবাসীরা অবশ্যই মাঠে থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
Discussion about this post