ধূসর সকাল ধূলোপড়া সীট
কেউ কোথাও নেই,
কৌশলী দেয় শাটলের গীট
ছেলেমেয়ে হারিয়েছে জীবনের খেই।
বাঁধা পড়ে জঞ্জাল,
নীরবে বিদ্যা বুদ্ধি সব হয়ে যায় কঙ্কাল।
তাদেরই মাঝে বেঁচে রয় কতশত প্রাণের স্পন্দন,
রাবনেরা থাবা মেরে দিয়ে যায় শুধু ক্রন্দন।
সৌরভ যখন ক্যাম্পাসে বিচরিত বিনা বাঁধায়,
মাস্টার মাইন্ড তখন রাবার বুলেটের কঠিন ধাঁধায়।
শৌচাগার স্টেশনের কিনারে ছুঁড়ে দেয় মুত্র বিসর্জন,
তোমাদের বিদ্যালয় কিইবা দিয়েছে; করতে অর্জন!
মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বহিরাগত,
কত-শত ছাত্রী আজ নির্যাতিত!
চিৎকারগুলো সব সাঁজোয়া শব্দ,
বাহিনী তো বসে আছে করে না জব্দ।
গন্ধে ভরা ঝুপড়িরা হাহাকার করে ওঠে;
কারণ দুমুঠো অন্নের,
ভরা বরষায় কপোতেরা আর হেসে ওঠে নি;
কারণ গতিহীন দৈন্যের।
মাশরিক থেকে মাগরিব যদিও এথা কল্লোলে সৃষ্ট-সুখ,
বৈষম্যের উৎকোচ চেয়ে বসে অচেনা হিল্লোলে ক্লিষ্ট-মুখ।
চাকুরী করা লাগবে যদিও বাজার গরম,
সিন্ডিকেটের তলায় পড়ে যায় ছাত্র নরম।
মাত্রায় পৌঁছে হয়না তার ধকলের বিশ্রাম; কোনো আশ্রমে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোরা; ভোগ করি কারাদন্ড সশ্রমে।
✍️ শিক্ষার্থীঃ আরবি বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
Discussion about this post