উড়োজাহাজে খালি আসন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান।
বিমান বলছে, যাত্রী সময়মতো উপস্থিত না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কতিপয় আসন শূন্য থাকে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিমানকে বেশ কিছু আসন খালি রাখতে হয়।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান এসব কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বিমানের আসন খালি কিন্তু টিকিট নেই’ এ ধরনের প্রচারণা লক্ষ করা যাচ্ছে।
এর কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
বিমান জানিয়েছে, চলমান করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে পাওয়া প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব এয়ারলাইনসের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকেও বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু আসন খালি রাখতে হয়।
বেবিচকের ৮ মার্চ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সংকীর্ণ পরিসরের ড্যাশ ৮-৪০০ এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজগুলোর পেছনের সারির আসনগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারগুলোর আসনসংখ্যার ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের ১৫টি আসন এবং বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২টি আসন খালি রাখতে হয়।
বিমান বলছে, এ ছাড়া বিভিন্ন কারণ যেমন ফ্লাইট ছাড়ার আগে যাত্রীদের সময়মতো উপস্থিত হতে না পারা, ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে না পারা, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভের কারণে ‘নো শো’ হওয়ায় আরও কতিপয় আসন শূন্য থাকে।
ফলে দৃশ্যমানভাবে অনেক আসন খালি থাকে, যা অনেকে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে এবং তা অনেক সময় ভাইরাল হয়।
বিমানের মুখপাত্র ও উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন খালি রাখার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অনেকে অবগত নয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জনমনে সৃষ্ট এ ধরনের বিভ্রান্তি নিরসনে সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
Discussion about this post