বেগম সিরাজুন্নেসা চোধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধ থাকবে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাতেই পদত্যাগ করেছেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট। নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরীকে।
এর আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। গতাকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এর আগে বিকেলে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। ভিসিকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইআইসিটি ভবন থেকে ভিসিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক সমিতির নেতারা ও প্রক্টরিয়াল বডি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, ভেতরে অবরুদ্ধ থাকায় ভিসি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাগবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ ভিসিকে মুক্ত করতে যান। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। এর জেরে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেন। তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ পিছু হটলেও একটু পরই সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশ আইআইসিটি ভবনে প্রবেশ করে ভিসিকে উদ্ধার করে তার বাসভবনে নিয়ে যায়।
Discussion about this post