দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি আগস্ট মাসে ২৯ দিনে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে, সড়ক দুর্ঘটনায় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এসব বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশটির জোহানসবার্গ কেপটাউন নর্থওয়েস্ট, ইস্টার্ন কেপ ও নদার্ন কেপ প্রদেশে এসব বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
চলতি মাসের ২ তারিখ কেপটাউনে করোনা আক্রান্ত হয়ে নাজিম উদ্দীন নামে এক বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি নোয়াখালী সদরের বাসিন্দা। ৮ আগস্ট কেপটাউনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সোলাইমান খান নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সোলাইমান শরীয়তপুরের বাসিন্দা। একই দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কেপটাউনে শরীয়তপুরের মুহাম্মদ ইলিয়াস নামে আরেকজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। একই দিন খলিলুর রহমান নামে আরো একজন বাংলাদেশি ফ্রি স্টেইট প্রদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন; তিনি সিলেট গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ৯ আগস্ট কেপটাউনে সড়ক দুর্ঘটনায় নাঈমুল ইসলাম তালুকদার নামে আরো একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে; তিনিও শরীয়তপুরের বাসিন্দা।
১২ আগস্ট মনজুরুল হক মিলন নামে একজন বাংলাদেশি করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা। ১৪ আগস্ট কেপটাউনে সিলেট হবিগঞ্জের বাসিন্দা মহসিন আহামদ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৭ আগস্ট জোহানেসবার্গে জহিরুল আলম করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন; তিনি নোয়াখালী চাটখিলের বাসিন্দা। ১৮ আগস্ট ইস্ট লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন কুমার মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা। ১৯ আগস্ট কেপটাউনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরের বাসিন্দা রফিক খান মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০ আগস্ট কেপটাউনে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মচারীর হাতে খুন হয়েছে জামাল খান নামে একজন বাংলাদেশি। তিনি নোয়াখালী বেগমগঞ্জের বাসিন্দা। ২৩ আগস্ট প্রিটোরিয়াতে করোনা আক্রান্ত হয়ে বরিশালের ইমদাদুল হক মন্টু নামে একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। ২৫ আগস্ট জোহানসবার্গের স্প্রিং শহরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দোলন বড়ুয়া নামে একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম রাউজানের বাসিন্দা। একইদিন ফ্রি স্টেইট প্রদেশের ব্লুমফন্টেইনে সরোয়ার আলম নামে একজন বাংলাদেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
তিনি ফেনী জেলার দাগভুঁইয়ার বাসিন্দা। একই দিন করোনায় নাসির উদ্দীন নামে একজন বাংলাদেশি নদার্ন কেপের আফিংটনে মৃত্যুবরণ করেছেন; তিনি লক্ষীপুর রামগঞ্জের বাসিন্দা। একই দিন রিয়াজ হাসনাত নামে ডারবানে আরো একজন বাংলাদেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। ২৮ আগস্ট কেপটাউনে শুভ নামের আরও একজন বাংলাদেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা। একই দিন করোনায় শাহাদাত হোসেন স্বপ্নন নামে একজন বাংলাদেশি করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
সর্বশেষ রোববার সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের বাসিন্দা চয়ন আহমেদ ইস্টার্ন কেপের কেপটাউনে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই দিন জিয়াউর রহমান রবিন নামে আরও একজন বাংলাদেশি কেপটাউনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি মাদারীপুরের বাসিন্দা। ৩১ আগস্ট নর্থ ওয়েস্টের জিরাস্টে আব্দুর রহিম নামে আরও একজন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। আবদুর রহিম গত সপ্তাহে জনসনের করোনা টিকা নিয়েছিলেন।
এ নিয়ে ২৯ দিনে মোট ২১ বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
Discussion about this post