প্রবাসী বাংলাদেশিরা করোনা মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৫ দিনেই ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা) দেশে পাঠিয়েছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১০টি দেশ থেকে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে এসব অর্থ বেশিরভাগই আসছে। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
গত বছর এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসেবে চলতি বছর মাত্র ১৫ দিনেই গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল শেষে রেমিট্যান্স আহরণ দাঁড়াবে ২৩০ কোটি ডলারে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়। গত মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে দেশটি থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৭৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। তৃতীয় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। দেশুট থেকে এসেছে ২০৬ কোটি ১১ লাখ ডলার। চতুর্থে থাকা মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। পঞ্চম দেশ যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। কুয়েত থেকে এসেছে ১৫৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, ওমান থেকে ১২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার, কাতার থেকে ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এসেছে। এছাড়া ইতালি থেকে এসেছে ৬৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫২ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
Discussion about this post