সৌদি আরবের আলখাফজি শহরে বাংলাদেশী গৃহকর্মীর আত্মহত্যা। ৩৭ বছর বয়েসী নিহত তুলি বেগমের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার কাশিমপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মিনাজ উদ্দিন ও স্বামীর নাম আলীম উদ্দিন।
নিহতের পাসপোর্ট নাম্বার (BK0131973)
এর আগে, গত ৪ মে (মঙ্গলবার) তুলি বেগম আত্মহত্যা করেন বলে জানান তার মালিক। নিহতের মরদেহ আলখাফজি শহরের একটি হাসপাতালে সংরক্ষিত আছে। পোস্টমার্টেম রিপোর্ট এলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস তুলি বেগমের মৃত্যুর খবরের নিশ্চয়তা জানিয়েছেন। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে , মৃতের পরিবারকে ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মৃতদেহ দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে যেকোন তথ্য আদানপ্রদানের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগও করতে বলেছে দূতাবাস-00966570212180 (Death section), Fax- 00966114192380।
এছাড়াও জানা যায়, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য স্থানীয় থানায় পুলিশ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে সৌদি শ্রম-মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী নারী কর্মরত। যাদের মধ্যে প্রায়শই অভিযোগ আসে নির্যাতনের। এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ এক বাংলাদেশী গৃহকর্মীকে হত্যা করে সৌদির গৃহকর্ত্রী।
পরে, ঐ বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবিরন বেগমকে হত্যার দায়ে দেশটির নাগরিক গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় সৌদি আরবের আদালত। রিয়াদের একটি ফৌজদারি আদালত এই রায় দেন ।
এদিকে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে অন্তত ৬৩ জন নারীর মরদেহ দেশে ফেরত এসেছে। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকেই এসেছে ২২ জনের মরদেহ। এ ছাড়া, লেবানন থেকে ১৪, জর্ডান থেকে ১১, ওমান থেকে সাত, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চার জনের মরদেহ এসেছে।
২০১৬ থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরলে অন্তত ৪৭৩ নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। এর মধ্যে ১৭৫ জনের মরদেহ এসেছে সৌদি আরব থেকে। যার মধ্যে ৫১ জনই আত্মহত্যা করেছেন। আর অন্যান্য দেশ ধরলে আত্মহত্যার সংখ্যা অন্তত ৮১ জন।
Discussion about this post