প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটি এখন প্রমাণিত হয়েছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত উন্নয়নের পথেই দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেলেও তিনি এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করে গেছেন শুধু সেগুলোকে অনুসরণ করলেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে তা প্রমাণিত সত্য, কারণ, আমরা যা-ই করছি, যে পথ জাতির পিতা দেখিয়ে গেছেন, সেই পথ ধরেই আমরা এগোচ্ছি। তিনি যা যা করতে চেয়েছিলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেই কাজগুলোকেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে। আর তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।
প্রধানমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় কার্যালয় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হতো তাহলে আমরা বাঙালিরা জাতি হিসেবে কখনও বিশ্বের মর্যাদা পেতাম না। সম্মান পেতাম না, একটা রাষ্ট্রও পেতাম না। তিনি যে সংগ্রাম চালিয়েছেন তাতে অত্যন্ত কৌশলের সাথে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এদেশে মানুষকে ঐকবদ্ধ করে তাদের স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানগুলো করার সুযোগ পাচ্ছি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই। অথচ ’৭৫ এর পরে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নাম আর আজকে কেউ মুছতে পারবে না।
তিনি এ সময় কারো নাম উল্লেখ না করে সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাবার বিএনপি-জামায়াতি ষড়যন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করেন তবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে মিথ্যা ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল আজ আন্তর্জাতিকভাবেও আপনারা দেখেন সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না । কারণ, আজকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজ্যুলুশনও হচ্ছে যে, ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
সূত্র : বাসস
Discussion about this post