ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে সকালেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর দলের সেরা ভরসা মুশফিকুর রহিমও ফিরে যান। পরে লিটন-মিরাজ আশা দেখাচ্ছেন দলকে। প্রথম ইনিংসে ৮২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এখনও ১৫২ রানে পিছিয়ে আছে।
ক্রিজে থাকা লিটন দাস ৬২ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী মেহেদি মিরাজ খেলছেন ৪৩ রান করে। তাদের জুটি থেকে এসেছে ১০২ রান। শনিবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ রানে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে চলে যান। এরপর মুশফিকুর রহিম ৫৪ রান করে কর্নওয়ালের স্পিনে ফিরেছেন।
এর আগে দ্বিতীয়দিন ১০৫ রান তুলে ৪ উইকেট হারায় বাঙলাদেশ। দলের পক্ষে ৪৪ রান করেন তামিম ইকবাল। মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের হয়ে সিরিজের শেষ টেস্টে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জসুয়া ডি সিলভা। তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আলজারি জোসেপের সঙ্গে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।
এছাড়া পেসার জোসেপ ৮২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন। তার আগে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন এনক্রুমাহ বোনার। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মেহেদি মিরাজ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯৯তম উইকেট। জসুয়ার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি হয় বোনারের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় রান হওয়ার পেছনে অবদান রাখেন দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও জোহান ক্যাম্পবেল। তারা শুরুতে ৬৬ রান যোগ করেন। অধিনায়ক ব্রেথওয়েট ৪৭ রান করে ফিরে যান। তার আগে আউট হওয়া ক্যাম্পবেল করেন ৩৬ রান। এছাড়া জার্মেইন ব্লাকউড করেন ২৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে চারটি করে উইকেট নেন পেসার আবু জায়েদ ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
Discussion about this post